কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) কাউন্সিলর এবং তার সহযোগীকে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আশিকুর রহমান ওরফে রকিকে (৩৩) লালমনিরহাট থেকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত ২৬ নভেম্বর রাতে জেলার আদিতমারী উপজেলার কমলাবাড়ি ইউনিয়নের চণ্ডিমারী বাজার থেকে তাকে আটক করলেও মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সকালে র্যাব-১৩ রংপুর কন্ট্রোল রুম থেকে রকিকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
রকি কুমিল্লা নগরের তেলিকোনা এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
আটক রকিকে কুমিল্লায় পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে আলোচিত এ জোড়া খুনের ঘটনায় ১০ জন আসামি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ল। তবে এদের মধ্যে দুজন বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
গত ২২ নভেম্বর বিকেলে নগরির পাথুরিয়াপাড়ায় নিজের ঠিকাদারি কাজ পরিচালনার অফিসে কয়েকজনের সঙ্গে বসেছিলেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল (৫০)। এ সময় কয়েকজন মুখোশধারী কাউন্সিলরের অফিসে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকেন।
এতে সোহেলের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নয়টি গুলি লাগে। এ সময় আহত হন তার সঙ্গে থাকা আরও আটজন। গুলিবিদ্ধ সবাইকে হাসপাতালে নিলে কাউন্সিলর সোহেল ও তার সঙ্গী আওয়ামী লীগ কর্মী হরিপদ সাহাকে (৬০) মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
পরে এ ঘটনায় কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮ থেকে ১০ জনকে আসামি করে মামলা করেন নিহত সোহেলের ভাই সৈয়দ মোহাম্মদ রোমান। ওই মামলার ৬ নম্বর আসামি রকি ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে ছিল।